কুমিরে বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের উদ্বোধন করলেন সাংসদ ও বিধায়ক

কুমিরে বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের উদ্বোধন করলেন সাংসদ ও বিধায়ক

Patamda: পটমদা কাটিন এলাকায় বিদ্যুতের সুবিধার জন্য শুক্রবার, কুমীরে নবনির্মিত বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের উদ্বোধন করেন জামশেদপুরের সাংসদ বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো এবং যুগসলাইয়ের বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী ফিতা কেটে। এতে জনসাধারণের বহু কাঙ্খিত দাবি পূরণ হওয়ায় এলাকায় আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে। অনুষ্ঠানে সাংসদ, বিধায়ক ছাড়াও পটমদা উত্তরের জেলা কাউন্সিলর খগেন মাহাতো, গ্রাম প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মাহাতো, চন্দ্রশেখর টুডু, অশ্বিনী মাহাতো, সুভাষ কর্মকার, প্রদীপ কুমার মাহাতো, মুচিরাম বাউরি, মহাবীর মাহাতো, মন্টু চরণ দত্ত এবং প্রধান চন্দ্র মাহাতো প্রমুখ নারকেল ভাঙল। এর পরে, এমপি-বিধায়ক সাবস্টেশন চালু করার সাথে সাথে পুরো ক্যাম্পাস আলোকিত হয়ে যায়।

এলাকার চারটি ফিডারেই বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। সাংসদ বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো বলেছেন যে এমনকি করোনার সময় এবং মার্চ-এপ্রিলেও বিভাগীয় কর্মকর্তারা সংবেদনশীল ছিলেন এবং সরবরাহের উন্নতিতে কাজ করেছিলেন। সাবস্টেশনের অভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে যেসব সমস্যা ছিল তা এখন মেটানো হবে। তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ বিভাগকে পটমদায় গ্রিড নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। কারণ চান্ডিল গ্রিড থেকে আসা ৩৩ হাজার লাইনটি আবহাওয়া খারাপ হওয়ার সাথে সাথে ব্রেক ডাউনের মুখোমুখি হতে হয় এবং তা পুনরুদ্ধার করতে দীর্ঘ সময় লাগে। পিপলায় দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যাতে এলাকায় না ঘটে সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার। জোড়সা এলাকা থেকে প্রায়ই তাদের কাছে অভিযোগ আসে, এজন্য জরাজীর্ণ তারগুলো বদলাতে হবে। যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধার্থে, কাঙ্কিডিহ থেকে দান্দুডিহ এবং জাল্লা থেকে কমলপুর পর্যন্ত প্রধান সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর শীঘ্রই বিধায়কের সাথে স্থাপিত করা হবে। কেন্দ্রীয় সড়ক তহবিল ভূয়াসিনান থেকে লাউজড়া হয়ে পশ্চিম বঙ্গ সীমান্ত হয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য চেষ্টা চলছে।

যুগসলাইয়ের বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী বলেন, এখানে একটি সাবস্টেশন তৈরি হলে এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। এলাকার উন্নয়নে সাংসদ-বিধায়ক একসঙ্গে কাজ করছেন। পুকুরের উপর দিয়ে যাওয়া কোনো তার শীঘ্রই অপসারণ করতে হবে। কারণ এলাকার অধিকাংশ মানুষ পুকুরে স্নান করতে যায় এবং সে সময় দুর্ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলেও মানুষ বাস করে এবং তারাও সম্মানিত। তাই এখানেও ত্রুটিপূর্ণ ট্রান্সফরমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং কোনো খেলাপির বিদ্যুৎ সংযোগ বিনা নোটিশে কাটা যাবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট সহ অন্যান্য অর্জনের বর্ণনা দিয়ে তিনি এ সাবস্টেশনটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য এলাকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা কাউন্সিলর খগেন মাহাতো বলেন, পটমদা ব্লক সদরে অবস্থিত সাবস্টেশন থেকে 30 কিলোমিটার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে, আগে ঝড়-তুফানের কারণে মানুষকে দুই থেকে চার দিন অন্ধকারে থাকতে হতো, কিন্তু এখন মানুষ ভালো বিদ্যুৎ পাবে এখান থেকে। অনুষ্ঠানে প্রধানত এসই প্রদীপ কুমার, ইই বিশাল কুমার, এ ই অমরজিৎ প্রসাদ, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুরেশ প্রসাদ চৌধুরী, সন্দীপ কুমার মিশ্র, কৃপাসিন্ধু মাহাতো, দিবাকর টুডু, যামিনী প্রামাণিক, বিশ্বনাথ মাঝি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। চন্দ্রশেখর টুডু অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশাল কুমার।

Spread the love