পরীক্ষাতে নকল রোধের জন্য পোশাক খুলে তল্লাশী চালানোয় মানসিকভাবে আহত একজন ছাত্রা শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে

পরীক্ষাতে নকল রোধের জন্য পোশাক খুলে তল্লাশী চালানোয় মানসিকভাবে আহত একজন ছাত্রা শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে

  • জামশেদপুরের সাকচির শারদামণি গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রাটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
  • পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যমতে সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে সে চুপচাপ নিজেকে ঘরে বন্ধ করে নেয়।
  • কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে আসা চিৎকার শুনে ও ধোঁয়া বের হতে দেখে দরজা ভেঙ্গে ফেললে দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা ঘিরে ফেলেছে ছাত্রাটিকে।
  • তাকে গুরুতর অবস্থায় এমজিএম মেডিকেল কলেজ থেকে টিএমএইচ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
  • স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন- পোশাক খুলে তদন্তের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।

Jamshedpur : জামশেদপুরের সাকচি শারদামণি গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্ৰা স্কুলে পরীক্ষার সময় তার পোশাক খুলে পরীক্ষা করার পরে মানসিকভাবে আহত হয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে নেয়। শুক্রবার বিকেল পাঁচ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে চিকিৎসার জন্য এমজিএম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টিএমএইচে হাসপাতালেরেফার করা হয়। মেয়েটির শরীর আশি শতাংশেরও বেশি পুড়ে গেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পোশাক খুলে পরীক্ষা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে পীড়িতা তার জবানবন্দিতে বলেছে যে পুরো ক্লাসে মেয়েদের সামনে তার পোশাক খুলে ফেলা হয়েছিল। ছাত্ৰাটির পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিকেল সাড়ে চার টার দিকে সে স্কুল থেকে আসে। স্কুল থেকে ফেরার সময় সে খুবই বিষণ্ণ ছিল। সে তার দুই বোনকে অন্য ঘরে যেতে বলে। মিনিট দশেক পর ঘরটি থেকে চিৎকারের আওয়াজ আসে এবং ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় যে তার পুরো শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে দ্রুত এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী চিকিৎসা চলাকালীন তার জবানবন্দিতে জানায় আজকে সামাজিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল। নকল করার অভিযোগে শিক্ষিকা চন্দ্রা দাস সব মেয়েদের সামনে আমার কাপড় খুলে তল্লাশি করে। আমার কাছ থেকে কোনো কিছু পাওয়া যায় নি, এতে আমি খুব অপমানিত বোধ করি সেজন্য আমি মরতে চাই। রাগের মাথায় কেরোসিন তেল ছিটিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। তারা চার বোন, গত বছর তার বাবা মারা গেছেন। তার মা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শারদামণি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি রামকৃষ্ণ মিশনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। খুব নামমাত্র মূল্যে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গীতা রানী মাহাতো বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা চন্দ্রা দাস আমার কাছে নকল করার অভিযোগ করেছিলেন। মেয়েটিকে ডেকে বুঝিয়ে বলা হয়। পোশাক খুলে তদন্ত করার ব্যাপারটি মিথ্যে।

Spread the love