মামাবাড়িতে বাঁদনা পরবের রঙে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে

মামাবাড়িতে বাঁদনা পরবের রঙে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে

  • রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন : ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে পান এখানে এসে
  • ঐতিহ্যবাহী বাঁদনা পরবের বিশেষ ব্যাঞ্জন ও গুড়ের পিঠার স্বাদে মেতে উঠেন হেমন্ত সোরেন।
  • গরু খুঁটার পারম্পরিক রীতির সময় মাদল বাজাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
  • পিতা শিবু সোরেন ও অন্যান্য আত্মীয়রাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পৌঁছান।

Chandil : মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাঁর মামাবাড়ি ধাদকিডিহতে উৎসবের রঙে সম্পূর্ণরূপে মগ্ন হয়ে যান। ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির মাধ্যমে স্বাগত জানানোয় আবেগাপ্লুত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে এসে অন্যরকম অনুভূতি পান তিনি। শৈশবের স্মৃতি আবার নতুন করে জেগে উঠে। ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুস্বাদু খাবার ও গুড়ের পিঠা উপভোগ করেন। এই সময় তার পিতা এবং জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন, মা রূপি সোরেন, স্ত্রী কল্পনা সোরেন, ভাই বসন্ত সোরেনের স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা তার সাথে ছিলেন।
নির্বাচন আয়োগের চিঠির সম্বন্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে চিঠির আসা যাওয়া লেগেই থাকবে ও রাজনীতিও চলতে থাকবে। পরে রাজনীতি নিয়ে আরও অন্যান্য প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তিনি বলেন যে এখন উৎসবের সময় সবাই আনন্দ উপভোগ করুন রাজনীতির জন্য প্রচুর সময় রয়েছে। তিনি বলেন করোনা মহামারীর পর এই বাঁদনা পরবের মাধ্যমে পরিবারে মধ্যে মেলামেশা বাড়বে ও সম্প্রীতি গড়ে উঠবে।
পারম্পরিক গরু খুঁটার সময় তিনি মাদল বাজান। তিনি সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা থাকার পর পিতা শিবু সোরেনের সাথে আকাশপথে রাজধানী রাঁচি রওনা হন। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা গ্রামেই রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে এডিসি সুবোধ কুমার, ডিডিসি প্রবীণ গাগরাই, এসডিও রঞ্জিত লোহরা, এসডিপিও সঞ্জয় সিং, ইন্সপেক্টর প্যাসকেল টপ্পো সহ বহু আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলোতে ভেসে উঠে পুরো গ্রাম
মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোটা গ্রাম আলোতে ভেসে উঠে। ধদকিডিহ গ্রামে যাওয়ার রাস্তায়, 17 টি বিদ্যুতিক খুঁটিতে বাল্ব লাগানো হয় এবং পুরো গ্রামটি আলোকিত উঠে। তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, তিনজন চিকিৎসক, পাঁচজন নার্স, দুজন ড্রেসার, দুজন ল্যাব টেকনিশিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।

সুবর্ণরেখা প্রকল্পের প্রকৌশলীরা মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মারক প্রদান করেন: সুবর্ণরেখা প্রকল্পের চান্ডিল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী অশোক দাস, ইচা বাঁধের প্রধান প্রকৌশলী গোপাল জি, সুপারিনটেনডিং ইঞ্জিনিয়ার মনোজ সিং, নির্বাহী প্রকৌশলী সঞ্জীব কুমার, নির্বাহী প্রকৌশলী সুরজ ভূষণ, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব গাদি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চান্ডিল বাঁধের ছবি তুলে দেন। এ সময় চারু চন্দ্র কিস্কু, সুখরাম হেমব্রম, তরুণ দে, গুরুচরণ কিস্কু, বুধেশ্বর মার্ডি, সুধীর কিস্কু, পাপ্পু ভার্মা, শ্যামল মারডি সহ দলের বহু পদাধিকারী ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন এলাকাটিকে ঘিরে ফেলে। ডিআইজি অজয় লিন্ডা, জেলাশাসক আরভা রাজকমল, জেলার এসপি আনন্দ প্রকাশ সুরক্ষা ব্যাবস্থার নজরদারি করছিলেন।

Spread the love