দুমকায় গার্লস হোস্টেলে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল 300 জন ছাত্রী

দুমকায় গার্লস হোস্টেলে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল 300 জন ছাত্রী

  • ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে খাবার রান্না করছিল একজন ছাত্রী, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ভয়াবহ আগুন।
  • দুমকার এসপি কলেজের তপশিলি জাতি-উপজাতি গার্লস হোস্টেলে ভয়াবহ আগুন।
  • আগুন থেকে বাঁচতে পালতে গিয়ে আহত এক ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি।
  • ছাত্রীদের সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
  • শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে অব্যাবস্থার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

Dumka : এসপি কলেজের তফসিলি জাতি-উপজাতি গার্লস হোস্টেলের কক্ষে রান্নার সময় একটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে আগুন লাগে । গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে আগুন সম্পূর্ণভাবে হোস্টেলের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ছাত্রীদের জামাকাপড়, খাট, বইসহ সার্টিফিকেট পুড়ে যায়। পালানোর সময় সীমানা প্রাচীর থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রী বাসন্তী মুর্মু। তার পায়ে গুরুতর চোট লাগে। 300 জন ছাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাত টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শহরের করহাদিবল রামরতন সিং রোডে এসসি-এসটি গার্লস হোস্টেলটি অবস্থিত। উক্ত ছাত্রাবাসে 350 জন ছাত্রী থাকে।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে কয়েকজন ছাত্রী কলেজে পড়তে যায়। হোস্টেলের প্রথম কক্ষে থাকা এক ছাত্রী খাবার রান্না করতে একটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালাতে মাচিস জ্বালায়। মাচিস জলতেই আগুন লেগে যায় ও সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে বাইরে পালতে যায়। হোস্টেলের একটি কক্ষে আগুন লাগলেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো হোস্টেলে। বাউন্ডারি ওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেমিস্টার-চার -এর ছাত্রী বাসন্তী মুর্মু আহত হয়। তাকে ফুলো ঝানো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গার্লস হোস্টেলে আগুন লাগার পর স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রনেতারা ফায়ার ব্রিগেড টিমকে খবর দেন। লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দমকলের ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন অন্য কক্ষে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা গেলেও ওই কক্ষে থাকা 30 জন ছাত্রীর জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে যায়। এখানে কাপড়-চোপড়, খাট, বই ও বহু ছাত্রীর সার্টিফিকেটও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট পুড়ে যাওয়ায় হতাশ শিক্ষার্থীরা।
সিভিল এসডিও মহেশ্বর মাহাতো, সিটি স্টেশন ইনচার্জ নভল কিশোর সিং, জেলা কল্যাণ আধিকারিক অশোক কুমার এবং সিও যমুন রবিদাস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কর্মকর্তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সিও ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন যে আগুনে যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা হবে।

Spread the love