ট্যাঙ্কার মেরামতের সময় বিস্ফোরণ, একজন নিহত, দুজন আহত

ট্যাঙ্কার মেরামতের সময় বিস্ফোরণ, একজন নিহত, দুজন আহত

  • ব্যাটারি খোলার সময় শর্ট সার্কিট থেকে কেবিনে আগুন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিস্ফোরণ। 
  • মেসরার চুট্টু রিং রোডের ছোটন মোটর গ্যারেজে আলকাতরা ট্যাঙ্কার মেরামত করা হচ্ছিল।
  • দুর্ঘটনার পর গ্যারেজে চাঞ্চল্য, ঘটনাস্থলেই মেকানিকের মৃত্যু।
  • নিহত ও আহতরা পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা।
  • দুর্ঘটনায় আহত দুজন কর্মচারীকে রিমসে ভর্তি করা হয়েছে।
  • সকাল 8 টা 45 মিনিটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়।

Ranchi : শনিবার সকালে মেসরা ওপি এলাকার চুট্টু রিং রোডের ছোটন মোটর গ্যারেজে মেরামত করার সময় একটি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরিত হলে গ্যারেজের প্রধান মেকানিক সঞ্জু কুমার ভৌমিক (22) ঘটনাস্থলেই মারা যান। সকাল 8 টা 45 মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সঞ্জুর মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে গুরুতর জখম হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই মেকানিক ও কর্মচারী মো মঈনুদ্দিন ও মানিক। আহতদের রিমসে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহত কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মেসরা ওপি, সদর ও খেলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রিমসে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল ছিল। একই সঙ্গে রিমসে নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে মেকানিক্স 12 চাকার ট্যাঙ্কারের ব্যাটারি খুলছিলেন। এরপর শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন কেবিন ও ট্যাংকারে ছড়িয়ে পড়ে। সঞ্জু, মঈনুদ্দিন ও মানিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভাচ্ছিলেন, এমন সময় আলকাতরা ট্যাঙ্কারের পেছনের অংশ বিকট বিস্ফোরণে ফেটে যায়। বিস্ফোরণ ঘটলেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কিছুক্ষণ পর অন্য কর্মীরা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সদরের স্টেশন ইনচার্জ শ্যাম কিশোর মাহাতো জানান, ট্যাঙ্কারে বিটুমিন পরিবহন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এখানে মেরামতের জন্য আনা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আশেপাশের গ্রামবাসীরা গ্যারেজের দিকে ছুটে যান। লোকজন দেখলেন ট্যাঙ্কারের কেবিন থেকে আগুনের লেলিহান শিখা উঠছে। আকাশে ছিল ধোঁয়াশা। সেখানে তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন।

ঘটনার পর এফএসএল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এরপর দলটি ট্যাঙ্কারের বিক্ষিপ্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সঙ্গে নিয়ে যায়। দলটি ট্যাঙ্কারের সাথে ব্যাটারি বক্স এবং কেবিনের সংযোগও পরীক্ষা করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্যাঙ্কারের দুপাশে ফোমের একটি স্তর বসানো ছিল। বিস্ফোরণের পর ফেনার কারণে কেবিনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ট্যাঙ্কারের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এর ভেতরে গ্যাস ভর্তি হয়ে গ্যাসের চাপে ট্যাঙ্কে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়।

Spread the love