গান্ধীজীর শেষ স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে উদ্যোগী অযোধ্যা পাহাড়ের পলাশ ব্লুজম স্টেট
Purulia: গান্ধীজী বলেছিলেন, “আপনার দেখা সবচেয়ে দরিদ্র এবং দুর্বলতম মানুষের মুখটি মনে করুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি যে পদক্ষেপটি বিবেচনা করছেন তা কি তার কোনও কাজে আসবে” মহাত্মা গান্ধীজির এই মহৎ এবং অনুপ্রেরণামূলক উক্তি ছিল তাঁর লেখা শেষ কথাগুলির মধ্যে। আর এই উক্তিকে সামনে রেখে পলাশ ব্লুসম স্টেটের কর্ণধার সুজন পণ্ডিত এক মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। তার যুক্তি হল মাশরুম এবং মাশরুম উৎপাদন ও চাষের বাস্তুতন্ত্র, যদি সাবধানে এবং চিন্তাভাবনা করে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে মহাত্মার শেষ স্বপ্ন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তিনি অযোধ্যা পাহাড়ে শুরু করেছেন মাশরুম চাষ সহ মাশরুমের সমস্ত খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ। এখানে উন্নত প্রযুক্তিতে মাশরুম বীজ উৎপাদন, মাশরুম চাষ সহ মাশরুমের কাসুন্দি, মাশরুমের আচার, মাশরুমের সিঙ্গারা, মাশরুমের পকোড়া ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
এবার থেকে মাশরুমের তৈরি সমস্ত ধরনের খাবার পাওয়া যাবে অযোধ্যা পাহাড়ে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এবার থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের হিল টপে অবস্থিত পলাশ ব্লোজোম স্টেটের নতুন ক্যাফেতে মাশরুমের তৈরি সমস্ত রকমের খাবার পাওয়া যাবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ক্যাফের উদ্বোধন হলো শনিবার। ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্থার কর্ণধার সুজন পণ্ডিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য সকলে।
অযোধ্যা পাহাড়ের একটি প্রথম সারির রিসোর্ট পলাশ ব্লুজম স্টেট। তবে এই রিসোর্টের একটাই বিশেষত্ব রয়েছে এখানে মাশরুমে বীজ তৈরি থেকে মাশরুম চাষ, মাশরুম এর বাজারজাতকরণ পাশাপাশি মাশরুমের তৈরি বিভিন্ন খাবার তৈরি করার বিশেষ কাজ করা হয়। এছাড়াও রুখা শুখা পুরুলিয়ার সাধারণ চাষীদের বিকল্প মাশরুম চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চাষীদের উৎপাদিত মাশরুম ক্রয় করছে পলাশ ব্লুজম স্টেট। সেখানে তৈরি করা হচ্ছে মাশরুমের তৈরি সমস্ত রকমের খাদ্য সামগ্রী। এমনকি মাশরুমের সিঙ্গারা, মাশরুমের পকোড়া, চাটনি, আচার, প্রভৃতি বিভিন্ন রকমের খাবার এবার থেকে হিল টপে অবস্থিত পলাশ ব্লূজম স্টেট এর নতুন ক্যাফেতে পাওয়া যাবে।