পটমদা প্রখন্ড কার্যালয়ে বিধায়কের অফিস উদ্বোধন

পটমদা প্রখন্ড কার্যালয়ে বিধায়কের অফিস উদ্বোধন

– যুগসালাই বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী প্রখন্ড কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলে অফিসের উদ্বোধন করেন।

– বিডিও ও সিওর সাথে প্রখন্ড কার্যালয় নিরীক্ষণ করে মেরামতের নির্দেশ দেন তিনি।
– জনগণের সমস্যাগুলিকে সমাধানের জন্য কার্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য এবং এলাকায় পরিচিতি বাড়ানোর জন্য তিনি তাঁর দলের কর্মীদের নির্দেশ দেন।

Patamda: মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনাগুলির মধ্যে গুরুত্ত্বপূর্ন একটি পরিকল্পনা, প্রত্যেক প্রখন্ড কার্যালয়ে স্থানীয় বিধায়কের অফিস স্থাপন করার আওতায় সোমবার পটমদা প্রখন্ড কার্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় যুগসলাইয়ের বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী বিধায়ক অফিসের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখন্ড প্রমুখ বালিকা সোরেন, উপপ্রধান শ্রীদেবী মাঝি, বিডিও পীযূষা শালিনা ডোনা মিঞ্জ, সার্কেল অফিসার চন্দ্রশেখর তিওয়ারি, এমও বিজেন্দ্র কুমার, বিধায়ক প্রতিনিধি সুভাষ কর্মকার, চন্দ্রশেখর টুডু, জেএমএম ব্লক সভাপতি অশ্বিনী মাহাতো, প্রাক্তন সভাপতি সমীর মাহাতো, শম্ভূ দাস, সেক্রেটারি দিবাকর টুডু, কোষাধ্যক্ষ যামিনী প্রামাণিক, মমতা মাহতো, তিলোত্তমা কালিন্দী, পনসস বৃন্দাবন দাস, নির্মল রজক, ঠাকুর মণি কুম্ভকার, সবিতা সিং, কুনামি মুর্মু, নবধন হাঁসদা, সত্যবতী সিং এবং বিপুল সংখ্যক জেএমএম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এই সময়, অনেকগুলি বিভাজের কাজের পর্যালোচনা করার সময় বিধায়ক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলে, সার্কেল অফিসার চন্দ্রশেখর তিওয়ারি বিধায়ককে বলেন যে এক মাসের মধ্যে মোট 160 টি দাখিল-খারিজ সম্পর্কিত আবেদন প্রাপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে 100 টি আবেদন কার্যকর করা হয়েছে এবং 37 টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাকি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিডিও-র অনুরোধে, বিধায়ক বিশেষ বিভাগীয় দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলার সময় ব্লক অফিস ভবনের মেরামতের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। এছাড়া বিভাগীয় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে বিরসা চকের কাছে জরাজীর্ণ কোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের গ্রাম প্রধানদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের এনওসি দেবার ও বিরসা চক থেকে সিধু-কানহু চক পর্যন্ত জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত করার জন্য প্রাক্কলন তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি। ঠিক সেইসময়ই রাঙ্গাটান্ড গ্রামের এক মহিলাকে তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য 5 হাজার টাকা আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন তিনি।
বিধায়ক মঙ্গল কালিন্দী বলেন যে বিডিও, সিও সহ সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে যারা তাদের সমস্যা বা কোনও কাজ নিয়ে প্রখন্ড কার্যালয়ে পৌঁছান তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন এবং তাদের কাজ দ্রুত নিষ্পাদন করুন। তিনি এরপর প্রতি সপ্তাহে সব দপ্তরের খবর নেবেন যাতে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হয়। সেখানে উপস্থিত জেএমএম কর্মী এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের প্রখন্ড কার্যালয়ে সমাধানের জন্য স্থানীয় মানুষের সমস্যা নিয়ে আসার নির্দেশ দেন তিনি, যা তিনি নিজের স্তর থেকে এবং অফিসারদের মাধ্যমে সমাধান করবেন। এতে জনসাধারণের কাজও সহজ হবে এবং জনমনে দলীয় কর্মীদের সম্মান ও পরিচিতিও বাড়বে।

Spread the love