গ্রীষ্মের শুরুতেই গভীর জলসংকট
Jamshedpur:জামশেদপুরে গ্রীষ্ম শুরুতেই বেশিরভাগ জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়। শুধুমাত্র টাটা কোম্পানির কমান্ড এলাকায় নিয়মিত জল সরবরাহ থাকলেও মানগো, ডিমনা রোড, পরসুডিহ সহ অন্যান্য স্থানে পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে । বিশেষ করে মানগো এলাকায় ভূমিগত জলের অতিরিক্ত দোহনের কারণে গ্রীষ্মকালে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। শঙ্কোসাই, টিচার্স কলোনি, ডিমনা বস্তি, পোস্ট অফিস রোড, উলিডিহ-এর মতো এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অবৈধ গভীর নলকূপ খনন, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন, অবৈধ জল সংযোগের কারণে সমস্যা তীব্র হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানগো এলাকায় তৈরি অ্যাপার্টমেন্টে অতিরিক্ত ডিপ বোরিং ও জল সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন মানগো অঞ্চলের মানুষ। জল সরবরাহের পাইপলাইনে লিকেজ এবং অবৈধ জলের কানেকশনও জল অপচয়ের প্রধান কারণ। নগর নিগমের পক্ষ থেকে একটি টিম গঠন করে ওয়ার্ড ভিত্তিক অফিসার নিয়োগ করা হলেও পাইপ লাইনের লিকেজ বন্ধে কোন সফলতা পাওয়া যায়নি।
মানগো নগর নিগম : জনসংখ্যা 2.5 লাখ, মোট কানেকশন 23100
মানগো এলাকায় জল সরবরাহের মোট 23100 টি কানেকশন রয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যার মানগো এলাকায় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থেকে প্রতিদিন চার কোটি 80 লাখ লিটার জল সরবরাহ করা হয়। মানগো এলাকার অ্যাপার্টমেন্টগুলি ফ্ল্যাটের সংখ্যা এবং জল খরচের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হয়। তবে একটি অ্যাপার্টমেন্টে একটি মাত্র কানেকশন দেওয়া হয়। মানগো এলাকায় স্থাপিত মোট 295 টি হ্যান্ডপাম্পের মধ্যে 50 টি হ্যান্ডপাম্প ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলি মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়া যেসব এলাকায় সমস্যা বেশি সেখানে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
24 ঘন্টার মধ্যে সমস্ত অভিযোগ নিস্তারণ
মানগো মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত। কর্পোরেশনের নির্বাহী আধিকারিক নিযুক্ত সমস্ত অফিসারকে জল সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি 24 ঘন্টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ জারি করেছেন। নতুন সংযোগের জন্য আগত আবেদনগুলিও 24 ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন জল সংযোগের জন্য জমির ক্ষেত্রফল অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা হয়। ওয়াটার মিটারের জন্য 1150 টাকা নেওয়া হয়। প্রতি হাজার লিটারে 9 টাকা হারে জলের চার্জ নেওয়া হয়। তবে যেসব পুরনো সংযোগে জলের মিটার লাগানো নেই, সেখানে মাসে 125 টাকা জল কর নেওয়া হয়।
ডিমনা লেকের জলস্তরও ক্রমাগত কমে যাচ্ছে
গ্রীষ্ম শুরুতেই ডিমনা লেকের জলস্তর দ্রুত হারে কমছে। এ হারে জল কমতে থাকলে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। স্থানীয় লোকজন জানায়, ডিমনা লেক পরিচ্ছন্নতার অভাবে পলি ও ময়লা ভরাট হয়ে লেকের গভীরতা কমে গেছে।