ঝাড়খণ্ডের আঞ্চলিক সিনেমায় মহিলাদের আধিপত্য

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশেষ

ঝাড়খণ্ডের আঞ্চলিক সিনেমায় মহিলাদের আধিপত্য

জামশেদপুর: পরিচালক-প্রযোজক হিসেবে আলাদা পরিচয় তৈরি করছেন নারীরা, একজন অভিনেত্রী হয়েও এখনকার নারীরা সন্তুষ্ট নন। অনেক সাঁওতালি চলচ্চিত্র নির্দেশিকা তাঁদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক নারীই আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন।

রানি মার্ডি, গঙ্গারানি, অঞ্জলি টিগ্গা, বীরবাহা হাঁসদা, উর্বশী টুডু। এগুলো এমন কিছু নাম, যা আজ সাঁওতালি চলচ্চিত্র জগতে স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁদের কাজের মাধ্যমে। তাদের মধ্যে কেউ আগে চলচ্চিত্রের নায়িকা, কেউ প্লেব্যাক গায়িকা এবং কেউ কোরিওগ্রাফার ছিলেন।

বারিডিতে বসবাসকারী রানি মার্ডি সাঁওতাল আদিবাসীদের পবিত্রতম তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচিত লুগু বুরু ঘন্টা বাড়ি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন এবং কয়েক ডজন বাণিজ্যিক সাঁওতালি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। বলা হয়ে থাকে যে, আদিবাসী সমাজে যেভাবেই হোক, কন্যাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়, তাই আজ নারীরা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও বড় নাম এবং বড় কাজ করছেন। তার পরবর্তী ছবি মগদ দুলাদের পরবর্তী অংশ আসতে চলেছে। রানী মার্ডি আগে সাঁওতালি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক গায়িকা ছিলেন। পরিচালকের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন রানী মার্ডি। একইভাবে সাঁওতালি ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করা গঙ্গারানীও পরিচালনায় জায়গা করে নিয়েছেন। গঙ্গারানির ছবি ইনা আতু দিশোম মুক্তি পেয়েছে এবং এখন গঙ্গারানি গালভান বীর ছবিতেও কাজ করছেন, যা গালওয়ান উপত্যকায় শহীদ গণেশ হাঁসদার জীবনের উপর নির্মিত হচ্ছে। এর বাইরে অঞ্জলি টিগ্গাকে নিয়ে বলতে গেলে আজ তার নির্দেশনায় নির্মিত মিউজিক ভিডিওটি ইউটিউবে মাতিয়ে রেখেছে। অনেক সময় অঞ্জলির গান তিন কোটি ভিউ নিয়ে টপ ট্রেন্ডে থাকে। অঞ্জলি নিজে শুধু অভিনেত্রী হিসেবেই কাজ করেন না, পরিচালনার দায়িত্বও নেন। একই সঙ্গে বীরবাহা হাঁসদা এমনই এক নাম, যা জামশেদপুরের সাঁওতালি ফিল্ম জগতের কাছে স্টারডমের অর্থ জানিয়েছিল। বীরবাহা জামশেদপুরের না হলেও সাঁওতালি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবে তার কর্মস্থল লৌহ নগরী । আজ বীরবাহা পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের মন্ত্রী। জামশেদপুরে থাকার সময় বীরবাহা প্রথমে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন, তারপর পরিচালনার দায়িত্ব নেন। আজও মন্ত্রী হিসেবে তিনি সাঁওতালি চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। উর্বশী টুডুর কথা বলা যাক। তিনি আগে সাঁওতালি চলচ্চিত্রের কোরিওগ্রাফার ছিলেন এবং এখন মিউজিক ভিডিওর পরিচালক হয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছেন।

Spread the love