শুকলা গ্রামে “কলা যাত্রা” র আয়োজন, ওস্তাদরা প্রশিক্ষণ প্ৰদান করেন।

শুকলা গ্রামে “কলা যাত্রা” র আয়োজন, ওস্তাদরা প্রশিক্ষণ প্ৰদান করেন।

Boram: ঝাড়খণ্ড সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন, শিল্প সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক অধিদপ্তরের অনুদান প্রকল্পের অধীনে, শুকলা গ্রামে নটরাজ কলা কেন্দ্র চোগার পক্ষ থেকে একটি “কলা যাত্রা” র (শিল্প বিষয়ক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) আয়োজন করা হয়। যৌথভাবে দ্বীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রখন্ড প্রমুখ মেনকা কিস্কু বিশিষ্ঠ অতিথি পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য প্রতিনিধি বিশ্বনাথ কুম্ভকার, পাহাড়পুর পঞ্চায়েত সমিতির মঙ্গল সিংহ, উপ মুখিয়া রবীন্দ্র নাথ মাহাতো এবং সমাজকর্মী মানিক মাহাতো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনকা কিস্কু বলেন, শিশুদের প্রকৃত শিক্ষা দিতে হবে। শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য নয়, কৃষি কাজ, গান-বাজনা, নৃত্যের মতো শিল্পের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান পাওয়া যায় এবং তার জন্যও শিক্ষার প্রয়োজন। “কলা যাত্রা” র মাধ্যমে নটরাজ কলা কেন্দ্রের প্রচেষ্টা খুবই প্রশংসনীয়, যারা শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন।

পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির বিশিষ্ট ছৌ ওস্তাদ শক্তিপদ মাহাতো ছৌ নাচের বিভিন্ন ধরনের কৌশল যেমন অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, চাল, উলফা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে নটরাজ কলা কেন্দ্রের সম্পাদক প্রভাত মাহাতো জানান, 31 মার্চ পর্যন্ত তিন জেলার 4 টি গ্রামে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। আজ প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পূর্ব সিংভূম জেলার শুকলা গ্রামে। দ্বিতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে সরাইকেলা-খরসাওয়া জেলার হেসাকোচায়, তৃতীয় রাঁচি জেলার বুন্দু ব্লকের কোড্ডা গ্রামে এবং চতুর্থ ও চূড়ান্ত কর্মসূচির আয়োজন করা হবে রাঁচির সিলি ব্লকের সালিসেরেং গ্রামে। ঝাড়খণ্ডের ঐতিহ্যবাহী শিল্প সংস্কৃতির বিকাশ, সংরক্ষণ ও প্রচার এবং শিল্পীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে মুখিয়া কিষ্টো মুদি ছাড়াও শিল্প বিশেষজ্ঞ রোহিন চন্দ্র মাহাতো, সাগর সিং, প্রফুল্ল মাহাতো, সন্তোষ মাহাতো, বিশ্বদেব মাহাতো সহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love