বনরাজ স্টিল বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া আরও এক শ্রমিকেরও মৃত্যু
File photo
Chandil : চান্ডিল ব্লকের হুমিদে অবস্থিত বনরাজ স্টিলের কারখানাতে বিস্ফোরণের পর চিকিৎসাধীন আরেক শ্রমিক দেবশরণ সিং সর্দার (34) হাসপাতালে মারা যান। দেবশরণ সিং সর্দার চান্ডিল ব্লকের রুদিয়া পঞ্চায়েতে অবস্থিত চকবেড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার দুদিন পর দেবশরণ সিং সর্দারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সময়ে সময়ে হাসপাতালে গিয়ে ড্রেসিং করাচ্ছিলেন তিনি। রবিবার হঠাৎ তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তাকে টাটা মেন্ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
এর আগে একই দুর্ঘটনায় নিমডিহ ব্লকের সীমা গুণ্ডার বাসিন্দা 20 বছর বয়সী শ্রমিক সুরেশ সিং সর্দারও চিকিৎসা চলাকালীন 11 এপ্রিল মারা যান। জামশেদপুরের উলিয়ানে অবস্থিত বিধায়ক সবিতা মাহতোর বাড়িতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট, গ্রামবাসী এবং বিধায়কের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। যাতে সাত লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়। নিহতের বাবাকে সাড়ে ছয় লাখ টাকার চেক ও নগদ 50 হাজার টাকা দেয় কোম্পানি ব্যবস্থাপনা।সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সবিতা মাহতো, কোম্পানি ম্যানেজমেন্টের পিআরও অরুণ সোলাঙ্কি, বিপিন শ্রীবাস্তব, লখন মার্ডি প্রমুখ।
ক্ষতিপূরণে কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বৈষম্য করছে : বুধেশ্বর মার্ডি
জেএমএম জেলা সম্পাদক বুধেশ্বর মার্ডি বনরাজ স্টিলস ম্যানেজমেন্টকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। বুধেশ্বর মার্ডি জানান, ওই ঘটনায় নিহত সুরেশ সিং সর্দারকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সাড়ে আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় দেবশরণ সিং সর্দারও মারা গেছেন, তার মৃত্যুতে প্রশাসন সাত লাখ টাকা দিয়েছে। কোম্পানি ম্যানেজমেন্টের উচিত ক্ষতিপূরণ হিসাবে মৃতের আত্মীয়দের সমান পরিমাণ সাড়ে আট লাখ টাকা দেওয়া। অন্যথায় কোম্পানি ব্যবস্থাপনার এই বৈষম্যমূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হবে।