হাইওয়া গাড়ির ধাক্কায় ইন্টারমিডিয়েটে অধ্যানরত ছাত্রের মৃত্যুর পর ডোবো সেতু জ্যাম

হাইওয়া গাড়ির ধাক্কায় ইন্টারমিডিয়েটে অধ্যানরত ছাত্রের মৃত্যুর পর ডোবো সেতু জ্যাম

টায়ার জ্বালিয়ে ডোবো সেতু জ্যাম, পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

মৃত কদমার রামনগরের বাসিন্দা, পরীক্ষা দিতে চান্ডিল যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে
Jamshedpur : সরাইকেলা খরসাওয়া জেলার কপালির পুড়িসিলিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বজিৎ নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। বিশ্বজিতের মৃত্যুর পর লোকেরা কপালি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ এমজিএম হাসপাতাল থেকে লিখিত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত করবে না বলে থানা থেকে লোকজনকে ফিরিয়ে দেয়। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বিক্ষুব্ধ জনতা ডোবো ব্রিজ অবরোধ করে। সেতুর দুই পাশ থেকে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। সেতুতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং প্রচণ্ড স্লোগান দেওয়া হয়। নিহত বিশ্বজিতের পরিবারের সদস্যরা হাইওয়া গাড়ির চালককে গ্রেফতার এবং নিহতের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
ভীড় দমকল কর্মীদের তাড়া করে : জ্যাম চলাকালীন ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডকে ডাকা হয়েছিল। ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন সড়কে জ্বালিয়ে রাখা টায়ার নিভাতে গেলে লোকজন তাদের তাড়া করে চলে যেতে বলে।
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হাইওয়া গাড়ির কবলে পড়ে ছাত্র। বিশ্বজিতের বাবার নাম পঙ্কজ সিং যিনি একজন চালক। বিশ্বজিতের এক ভাই এর আগেও দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বর্তমানে তার দুই ভাই রয়েছে। স্বজনরা জানান, সে সরাইকেলা কলেজের ইন্টার ছাত্র এবং পরীক্ষা দিতে চান্ডিল যাচ্ছিল।হাইওয়া গাড়ি তাকে পিষে ফেলে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বিশ্বজিৎকে এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ:
যারা জ্যাম করছিল তারা বলছে কাপালি পুলিশ তাদের হয়রানি করেছে। কখনও এমজিএম হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্ট আনতে বলা হয়, কখনও বলা হয় এমজিএম হাসপাতাল থেকে বক্তব্য না আসা পর্যন্ত মামলা করবেন না। যে বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে সেই বাড়ির লোকজন উত্ত্যক্ত করায় ক্ষুব্ধ।
মৃতদেহ হিমাগারে রাখা হয়:
এমজিএম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে বিশ্বজিতের মরদেহ। শনিবার তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। এমনকি এমজিএম হাসপাতালেও ময়নাতদন্তের পঞ্চনামা এখনও প্রস্তুত করেনি কপালি পুলিশ।

Spread the love