আদিবাসী মুন্সিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ উদ্ধারের অভিযোগ

আদিবাসী মুন্সিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের বিরুদ্ধে অবৈধ উদ্ধারের অভিযোগ

Jamshedpur: সারাইকেলা-খরসওয়ান জেলার আদিত্যপুর থানার অন্তর্গত হাতিয়াডিহের শম্ভু সর্দারকে বুধবার আদিত্যপুর থানার দুই টাইগার মোবাইল জওয়ান লাঞ্ছিত করেছে এবং তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যের নাম পিন্টু সিং ও সঞ্জীব। শম্ভু সরদার মুন্সি এবং তিনি হাতিয়াডিতে একটি ব্যক্তিগত প্লটে চলমান কাজ দেখাশোনা করতেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি সঞ্জয় সরদার এবং কাউন্সিলর অভিজিৎ মাহাতোর নেতৃত্বে বস্তির মানুষ আদিত্যপুর থানায় পৌঁছে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। উভয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা শম্ভু সরদার। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বস্তিবাসী। ব্যবস্থা না নিলে ডিআইজির কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মানুষ।

টাইগার মোবাইল জওয়ানরা অবৈধ উদ্ধারের জন্য মানুষকে হয়রানি করে
বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকার পুলিশ সদস্যরা বেআইনি উদ্ধারের জন্য লোকজনকে লাঠিপেটা করেছে। হাতিয়াডিতে, দুর্গাচরণ মাহাতো তার রায়তি জমিতে সীমানা প্রাচীরের কাজ করছেন। অভিযুক্ত টাইগার ভ্রাম্যমাণ পিন্টু ও সঞ্জীব কাজ বন্ধ করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় সাক্ষাতের নির্দেশ দেন। এরপর থানার ওসিকে কাগজপত্র দেখান রায়তদার। থানাদার রায়তকে জমিতে কাজ করতে অনুমতি দেন। এদিকে বুধবার উভয় টাইগার মোবাইলে এসে জানতে পারে সেখানে কাজ চলছে। এরপর পিন্টু ও সঞ্জীব দুজনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে কাজ দেখতে থাকা শম্ভু সরদারকে গালিগালাজ করে লাঠি দিয়ে মারধর করে। দুজনেই জোরপূর্বক তার মোবাইল ফোন ও শ্রমের বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে, রাইতদার এবং বিজেপি এসটি মোর্চা জেলা সভাপতি সঞ্জয় সরদার ও অভিজিৎ মাহাতোর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ নির্যাতিতার সমর্থনে পৌঁছে এবং অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

পুলিশের নির্দেশে সরকারি জমি লুট: কাউন্সিলর
থানায় বিক্ষোভ চলাকালে কাউন্সিলর অভিজিৎ মাহাতো পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ করেন। কাউন্সিলর বলেন, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যতীত পুলিশ অবৈধ চাঁদাবাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পুলিশের নির্দেশে নির্বিচারে সরকারি জমিতে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে রাইতদার কে হয়রানি করা হচ্ছে।

Spread the love