খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি তৈরী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না: জয়রাম

খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি তৈরী না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না: জয়রাম

Saraikela: ঝাড়খণ্ডি ভাষা খতিয়ান সংগ্রাম সমিতির ব্যানারে 1932 সালে খতিয়ান ভিত্তিক স্থানীয় নীতি, রোজগার নীতি সহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের কয়লাঞ্চল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন কোলহানের মাটিতেও পৌঁছেছে। সোমবার রাজনগরের দুর্গা ময়দানে বিপ্লবী টাইগার জয়রাম মাহাতোর সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজনগরে পৌঁছানোর পর, জয়রাম মাহতো প্রথমে গোবিন্দপুরে বীর শহীদ দিবা কিশুন, রাজনগরে বীর সিদো কানহু এবং সহদেব মাহাতোর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর তিনি জনতার মাঝে বসেন। জয়রাম বলেন যে ঝাড়খণ্ড আজ 21 বছর হয়ে গেছে। আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের পর ঝাড়খণ্ড সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে এত বছর পরেও ঝাড়খণ্ডীদের কোনো পরিচয় নেই। ঝাড়খণ্ডকে চারণভূমি করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের খনিজ সম্পদ লুট করে ধনী হচ্ছে বহিরাগতরা। স্থানীয় নীতি ও পরিকল্পনা নীতির অভাবে বহিরাগতরা এখানে আমাদের চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। তিনি বিভিন্ন নামে ভোটার আইডি তৈরি করে সাত জায়গায় ভোট দিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তির উদাহরণ দেখিয়েছেন। জয়রাম বললেন, কে ঝাড়খণ্ডি, সেটা চিনতে হবে। জয়রাম বাঁধ ও শিল্পের নামে আদিবাসীদের জমি জোরপূর্বক লুণ্ঠনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, শিল্পের নামে আমাদের বাপ-দাদার জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জমির জন্য গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে আদিবাসীদের। ঝাড়খণ্ডের নেতা ও মন্ত্রীদেরও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, 21 বছর ধরে আমাদের নেতারা ঝাড়খণ্ডের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি, চাকরির সুরক্ষার জন্য কিছুই করিনি। আমাদের নেতা মন্ত্রীরা শুধু বাবুদের তৈরি নীতিমালায় স্বাক্ষর করার কাজ করেন। খনিজ সম্পদের চল্লিশ শতাংশ এখানে রয়েছে। কিন্তু আমরা গরীব হয়েছি, বাইরের লোকেরা এখানে আমাদের সম্পদ লুট করে ধনী হচ্ছে। খতিয়ানভিত্তিক স্থানীয় নীতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন থামবে না। এটা কোনো বিশেষ বর্ণের আন্দোলন নয়, সব আদিবাসীদের আন্দোলন। কোলহান আন্দোলনের দেশ, ঘরে ঘরে বিপ্লবী তৈরি করুন। এর আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা দেবেন্দ্র মাহাতো এবং অমিত মাহতো।

Spread the love