সাঁওতালি ভাষার বিকাশে সাহিত্য একাডেমির গুরুত্বপূর্ণ অবদান: সোরেন

সাঁওতালি ভাষার বিকাশে সাহিত্য একাডেমির গুরুত্বপূর্ণ অবদান: সোরেন

-জুলাই মাসে ঘাটশিলায় জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
-ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি সাঁওতালি ভাষার ফলোয়ার।
Ghatshila : মঙ্গলবার সাঁওতালি ভাষার উন্নয়নে সাহিত্য অকাদেমির অবদান শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাঁওতালি পরামর্শ মণ্ডল সাহিত্য আকাদেমি নয়াদিল্লির আহ্বায়ক মদন মোহন সোরেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিধায়ক রামদাস সোরেন, কলেজের অধ্যক্ষ ড. রবীন্দ্র কুমার চৌধুরী, মাহি মার্ডি, ড. নরেশ কুমার, ভুজং টুডু। এ উপলক্ষে মদন মোহন সোরেন বলেন, দেশে প্রায় এক কোটি মানুষ সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি সাঁওতালি ভাষার ফলোয়ার রয়েছে।
তিনি বলেন, সাহিত্য একাডেমি সাঁওতালি ভাষাসহ দেশের ২৪টি ভাষার সুরক্ষা, কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করছে। সাঁওতালি ভাষাকে জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ 2003 সালে শুরু হয় এবং 2004 সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 2005 সালে এটি সাহিত্য একাডেমিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর সাঁওতালি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন অনেকে।
তিনি বলেন, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচাতেও সাহিত্য একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, জুলাই মাসে ঘাটশিলা কলেজে একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হবে। এতে দেশের বড় বড় সাহিত্যিকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন।

এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক রামদাস সোরেন বলেন, রাজ্য সরকার সাঁওতালি ভাষার উন্নয়নে অনেক কিছু করছে। আগামী দিনে তার ফলও দেখা যাবে। তিনি বলেন, ঘাটশিলা খুবই ভাগ্যবান যে আগামী দিনে সাহিত্য অকাদেমির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় সেমিনার হবে। অনুষ্ঠানে মাহি মার্দির বইও প্রকাশ করা হয়। এর আগে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল অতিথিকে শাল পরিয়ে ও স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।

Spread the love