25শে জুলাই শহীদ দিবসের সাক্ষী জামশেদপুরে ডা টি কে চ্যাটার্জী

25শে জুলাই শহীদ দিবসের সাক্ষী জামশেদপুরে ডা টি কে চ্যাটার্জী

Jamshedpur: “এখন আগুন চাই আমাদের এই কুঁড়েঘরে” কবি মুরারি মুখ্যাপাধায়ের শহীদ দিবসে মনে পড়ে তার বিখ্যাত কবিতা। মুরারি মুখ্যাপাধায় সহ 16 জন শহীদ হন 1971 সালের 25 জুলাই বর্তমান ঝাড়খন্ডের হাজারীবাগ জেলে কারারক্ষীদের লাঠি ও গুলিতে শতাধিক বন্দী আহত হন। সেই আহতদের মধ্যে ছিলেন ইস্পাত নগরীর ডাক্তার টি কে চ্যাটার্জী। তিনি জানান বিপ্লবী রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন সেই প্রতিবাদের সুরের জেরে তাকেও বন্দি করা হয়। টি কে চ্যাটার্জিকে হাজারীবাগের জেলে পাঠানো হয় মুরারি মুখোপাধ্যায়দের সাথে তাদেরকেও রাখা হয় সেই জেলে। টি কে চ্যাটার্জি জানান তখন নকশালবাড়ির রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন। তিনি জানালেন মুরারি মুখোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরনায় এগিয়ে যান। মুরারি বাবু সিপিআই(এমএল) গঠনের পরে তিনি আড়িয়াদহ-দক্ষিণেশ্বর আঞ্চলিক পার্টির দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গ্রামে চলে যান এবং পার্টির ‘বাংলা বিহার উড়িষ্যা সীমান্ত আঞ্চলিক কমিটি’র কাজের সাথে যুক্ত হন। 1969 সালের অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ মুরারি, ওরফে আনন্দকে, পুরুলিয়ার বহড়াগাড়ো-চাকুলিয়া অঞ্চল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঠাঁই হয় বর্তমান ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ সেন্ট্রাল জেলে। 1971 সালের 25 জুলাই দুপুর আড়াইটায়, জেলে কারারক্ষীদের লাঠি ও গুলিতে শতাধিক বন্দী আহত হন, মারা যান মুরারি সহ 16 জন। রাষ্ট্রের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর বর্বরতায় শহীদ হলেন মুরারি মুখার্জী, বিজন, মিশ্র, ডি কে, ডাম্বেল, বাবি, চির, প্রদীপ, বেণু, অলক, সুনীল, গণেশ, গুরুচরণ, রবীন অধিকারী, মাধবানন্দ এবং সমীর। টি কে চ্যাটার্জী জানালেন আমাদের উপর যেভাবে অত্যাচার হয় সেই দিন আমার শরীরেও গুলি বিদ্ধ হয় কিন্তু প্রাণে বেঁচে গেছিলাম। প্রশাসন সেই সময়ে শহীদদের মৃতদেহ পর্যন্ত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সাহস করেনি। টি কে চ্যাটার্জী জানালেন প্রত্যেক বছর শহীদের উদ্দেশ্যে শহীদ দিবস পালন করা হয়।

Spread the love