পটমদায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু,মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

পটমদায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু,মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

Patamda: পটমদা থানা এলাকার সুন্দরপুর টোলা কাশিডিহে শনিবার সকাল 8 টার দিকে ট্রাক্টরের ধাক্কায় 15 বছর বয়সী হারাধন ওরফে রাকেশ মাহতো গুরুতর আহত হয়। গ্রামের এক ব্যক্তির ধান ক্ষেতে লাঙল চালাতে চালকের সঙ্গে ট্রাক্টরে গিয়েছিল সে। দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাকে মাচা সিএইচসিতে নিয়ে গেলে সিএইচসি ইনচার্জ ডাঃ সমীর কুমার পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর পুলিশকে না জানিয়েই স্বজনরা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ট্রাক্টর মালিক উত্তম মাহাতোর সঙ্গে সমঝোতা হয়। গভীর সন্ধ্যায় গ্রামে মৃতদেহটি পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছিল এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটমদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক রাম ও এসআই মনোজ কুমার কাশিডিতে পৌঁছে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। অশোক রাম জানান, নিহতের স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে চাইছিলেন না। তিনি জানান, ট্রাক্টর মালিক মৃতের কাকা সম্পর্কীয় আত্মীয়। যেহেতু দুর্ঘটনাটি নিজেদের পরিবারের লোকেরই গাড়ি থেকে ঘটেছে তাই বিষয়টি বিবেচনা করে মৃতের বাবা সুচাঁদ মাহাতো মামলা করতে চাননি। স্টেশন ইনচার্জ বোঝানোর পরও রাজি না হলে পটমদার সার্কেল ইন্সপেক্টর হীরালাল মাহাতোও কাশিডিতে পৌঁছেন এবং প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও অন্যান্য পরিকল্পনার কথা জানালে পরিবার ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে 6
টার দিকে পুলিশ লাশের পঞ্চনামা তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য এমজিএম মেডিকেল কলেজে পাঠায়। এ ব্যাপারে ট্রাক্টরের চালকের বিরুদ্ধে পটমদা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

গ্রামবাসীদের মতে, অনেক চিকিৎসা ও ভগবানের কাছে মানত চাওয়ার পর বিয়ের বহু বছর পর সুচাঁদ মাহাতোর একটি সন্তান হয় এবং সেও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। ঘটনার পর নিহতের মা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন, এই হৃদয় বিদারক ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Spread the love