সাইবার জালিয়াতির চেষ্টা নকশাল প্রভাবিত পটমদার রাজাবাসায়

সাইবার জালিয়াতির চেষ্টা নকশাল প্রভাবিত পটমদার রাজাবাসায়

গ্রামবাসী তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়

Patamda: পটমদা থানা এলাকার অত্যন্ত নকশাল প্রভাবিত রাজাবাসা গ্রামে মঙ্গলবার সকাল 10 টার দিকে বেশ কয়েকটি বাড়িতে প্রতারণার চেষ্টা করার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রামবাসীরা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এই প্রসঙ্গে জোড়সা পঞ্চায়েতের মুখিয়াপ রূপেন সিং বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বলতে বলতে এক স্কুটি আরোহী তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার রাজাবাসা গ্রামে পৌঁছেছিলেন। সেখানে তিনি অনেকের বাড়িতে গিয়ে বলতে শুরু করেন যে আপনার নামে 20 হাজার টাকা বীমা এসেছে, এর জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি দিতে হবে। এই বলে তিনি পরিবারের কাছ থেকে কিছু নিয়েছিলেন কিন্তু রাজাবাসার বাসিন্দা শিক্ষক সুকু মুর্মুর বাড়িতে ঢুকে কাগজপত্র দাবি করতে শুরু করলে শিক্ষকের বাবা রাজারাম মুর্মুর সন্দেহ হয়। তিনি গোপনে তার ছেলে এবং পরে মুখিয়া ও অন্যদের কাছে এই তথ্য দেন। মুখিয়া তৎক্ষণাৎ গ্রামের এক শিক্ষক ধনঞ্জয় মুর্মুকে ফোন করে বিষয়টি জানান ও পরামর্শ দিলেন যে আপনি তাকে সেখানে রাখুন এবং তাকে পালিয়ে যেতে দেবেন না। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে মুখিয়া রূপেন সিং ও তুংবুরু পিকেটের পুলিশ গ্রামে পৌঁছে তাকে পিকেটে নিয়ে আসে। সেখান থেকে পটমদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অশোক রাম একটি গাড়ি পাঠিয়ে অভিযুক্তকে পটমদা থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তার কাছে একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে যাতে কয়েকশ লোকের নাম ও আধার নম্বর লেখা রয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রথমে গোলমুখে উত্তর দিলেও কড়া জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে বাংলার বাঁকুড়ার বাসিন্দা এবং নাম রাকেশ কর্মকার বলে জানিয়েছেন। পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং সে একাই এ ধরনের প্রতারণার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নাকি কোনো চক্রের সঙ্গে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে। রাজাবাসা ও আশপাশের গ্রামের এক ডজনেরও বেশি মানুষ থানায় পৌঁছেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওসি অশোক রাম জানান, তিনি বর্তমানে থানার বাইরে রয়েছেন এবং এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একই ভাবে সাইবার গুণ্ডারা গ্রামের নিরীহ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আধার নম্বর নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রামের ধনঞ্জয় মুর্মু জানান, শুধুমাত্র সচেতনতার কারণে গ্রামের মানুষ প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।

Spread the love