বোড়ামে বজ্রপাতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে

বোড়ামে বজ্রপাতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে

বজ্রপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোবরঘুষির শিব মন্দিরে

Patamda: সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বোড়াম থানা এলাকার জোবা গ্রামে বৃষ্টি এড়াতে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবকের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। তবে গুরুতর আহত দুজনের জীবন বাঁচাতে দূর থেকে উপস্থিত স্বজনরা সেখানে ছুটে এসে বোড়াম থানা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই 108 অ্যাম্বুলেন্স আসে এবং উভয় গুরুতর আহত যুবককে এমজিএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় দুজনেরই। মৃত দীঘি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক বঙ্কিম মাহাতোর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো (21 বছর) এবং তার মাসতুতো ভাই বিধান মাহাতো (20 বছর) বাংলার গিদিঘান্টির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বোড়ামের প্রাক্তন জেলা কাউন্সিলর স্বপন কুমার মাহাতো জানান, দিঘি গ্রামের বাসিন্দা বঙ্কিম মাহাতোর জোবা গ্রামে নিজস্ব জমি রয়েছে যেখানে তিনি সবজি চাষ করেছেন। সোমবার দুপুরের পর তার ছেলে লক্ষ্মীকান্ত ও তার শ্যালকের ছেলে বিধান ভিন্ডি ফসলে কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়েছিল। বৃষ্টি এড়াতে দুজনে একটা বটগাছের নিচে দাঁড়ান। বঙ্কিম মাহাতো যখন তার জমিতে কাজ করছিলেন। প্রচণ্ড শব্দে হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে লক্ষ্মীকান্ত ও বিধান অজ্ঞান হয়ে যান। এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। স্বপন জানান, কয়েকদিন আগে বিধান পটমদার দীঘি গ্রামে তার মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল এবং তাকে কৃষিকাজে সহায়তা করতে ক্ষেতে পৌঁছেছিল। এ ঘটনার পর জোবা গ্রামে ব্যাপক জনসমাগম হয় এবং দুই যুবকের মৃত্যুতে পরিবেশ শোকাবহ হয়ে ওঠে। এখানে খবর পেয়ে দীঘি ও গিদিঘান্টির স্বজনদের অবস্থা বেহাল।

অপরদিকে বিকাল ৫টার দিকে পটমদার গোবরঘুসি গ্রামে শিবমন্দিরে বজ্রপাতের জেরে মন্দিরের চূড়া ভেঙ্গে পড়ে, মন্দিরেও ফাটল দেখা দেয়। এ ব্যাপারে গ্রামের রাজকুমার সিংদেব বলেন, এটা ভগবান ভোলেনাথের কৃপা যে এই ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি কারণ ঘটনার সময় মন্দিরের আশেপাশে কেউ উপস্থিত ছিল না। অন্য দিনে মন্দিরের আশেপাশে সর্বদা লোক সমাগম থাকে।

Spread the love