ভুয়া সিবিআই অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করা ডাকাতদলের দুজন গ্রেপ্তার

ভুয়া সিবিআই অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করা ডাকাতদলের দুজন গ্রেপ্তার

 

Jamshedpur : জামশেদপুর পুলিশ মঙ্গলবার রাতে একটি ডাকাতদলের দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বারিডিহ তে এক ঠিকাদারের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। এই দলটি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য বড় ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে লুঠ করত। তারা সিবিআই অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করত এবং তদন্তের অজুহাতে গয়না, নগদ এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে জাল বাজেয়াপ্ত তালিকা তৈরী করে তালিকাটি দিয়ে সমস্ত জিনিস নিয়ে পালিয়ে যেত। এই দলটিতে 10 থেকে 12 জন সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে দুইজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এসএসপি প্রভাত কুমারের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ধরে পুলিশ।

ছয় কোটি 50 লাখ টাকার খবর পেয়ে বারিডিহ তে পৌঁছেছিল দলটি
6.50 কোটি টাকার খবর পেয়ে বারিডিহের ডিএস ফ্ল্যাটের পিছনে ঠিকাদার হরেন্দ্র সিং-জিতেন্দ্র সিংয়ের গোদামে পৌঁছেছিল ডাকাতদলটি। তারা দুটি পিকআপ ভ্যান, একটি কার ও একটি বাইক নিয়ে এসেছিল। তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকার সময়ই পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়, এতে বাকিরা পালিয়ে গেলেও দুজন ধরা পড়ে।
বিহারের পাটনার (বর্তমানে মুন সিটির বাসিন্দা) রাজকুমার (42) ও লাতেহার জেলার বালুমাথ থানা এলাকার মো. মুস্তাকিম (35) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি অবৈধ দেশীয় পিস্তল, কিছু অফিসিয়াল সিল এবং স্ট্যাম্প, 12 বোল্ট ব্যাটারি, ডিসি কনভার্টার, মোবাইল সিগন্যাল জ্যামার, সাবল, স্ক্রু ড্রাইভার ইত্যাদি উদ্ধার করে পুলিশ।

ডাকাত দলটি ভুয়া সিবিআই, আয়কর, শ্রম দফতরের দল হিসেবে কারও বাড়িতে বা অফিসে হানা দিত। অভিযানের আগে ওই বাড়িতে কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করত তারা। ডাকাতির আগে মোবাইল জ্যামার বসানো হত, যাতে কেউ ফোন ব্যাবহার করতে না পারে। এরপর তদন্তের নামে সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হত। অনুসন্ধানে, গয়না, নগদ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের জাল বাজেয়াপ্ত তালিকা তৈরি করা হত। তারা একসঙ্গে 10 থেকে 15 জন সদস্য পৌঁছাত। এতে কিছু লোক সিবিআই হিসেবে কিছু লোক আয়কর বিভাগের লোক হয়ে আর কিছু লোক স্থানীয় পুলিশ সেজে একসঙ্গে ভয় দেখিয়ে যাবতীয় নগদ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে নিত । এরপর সব সামান গাড়িতে নিয়ে ভুয়া জব্দ তালিকা ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যেত।

এটি একটি আন্তঃরাজ্য গ্যাং। ডাকাতদলটি দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৭টি ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের কাছ থেকে সাকচি থানা, নোটারি, ব্যাংক কর্মকর্তা, শ্রম বিভাগ, আয়করসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সিল উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বাজেয়াপ্ত তালিকা এবং জাল সার্টিফিকেট তৈরির জন্য ব্যবহার করা হত। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একজন অফিসারের আই-কার্ডও উদ্ধার করেছে।

Spread the love