লাউজোড়ার হাতিখেদা মন্দিরের সদস্য কার্তিক সিংহ এর উপর গুলি চলে,অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি

লাউজোড়ার হাতিখেদা মন্দিরের সদস্য কার্তিক সিংহ এর উপর গুলি চলে,অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি

গুলির পিলেট ছিটকে মাথায় আঘাত পান তিনি

Kalyan Kumar Gorai(Jamshedpur): রবিবার এক ব্যাক্তিকে চাপাকালের সামনে প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ওই ব্যক্তি রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়। তারপর লাথি ঘুষি দিয়েও প্রচন্ড মারধর করে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে যারা গুলি চালায় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ এসে আহত অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত লোকটি রামনাথ মাহতোর হোটেলে খাওয়ার পর কার্তিক সিংয়ের বাড়ির কাছে চাপাকালের পাশে প্রস্রাব করার সময়, কার্তিক সিংয়ের মা গিরিবালি সিং প্রথমে বিরোধ করেন, কিন্তু লোকটি কোনো ভ্রুক্ষেপ করে না। তা দেখে কার্তিক সিং গিয়ে বলেন, তোমরা এখানে প্রস্রাব করো না, এগিয়ে গিয়ে অন্য্ জায়গায় কর, তখন মাতাল লোকটি প্রথমে কার্তিক সিংকে মারধর করে এবং গাড়ি থেকে রাইফেল এনে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। কার্তিক জানান, হাতি খেদা ঠাকুরের কৃপায় তার জীবন রক্ষা পেলেও কার্তুজের টুকরো ছিটকে এসে মাথায় আঘাত লেগে রক্তক্ষরণ হয়।

রবিবার জামশেদপুরের মানগো এলাকা থেকে 6টি গাড়িতে করে পুজো করতে আসা 30 জন লোক বোড়াম থানা এলাকার লাউজোড়া গ্রামে অবস্থিত হাতিখেদা মন্দির চত্বরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হাওয়াতে ফায়ারিং করে। এতে বিকাল সাড়ে 4 টার দিকে ঘটনাস্থলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং লোকজন এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। আশেপাশের দোকানদার ও অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, কিছু লোক মিলে মন্দিরের একজন পুরোহিতকে নির্মমভাবে মারধর করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের ধরার জন্য তাড়া করেন। এর মধ্যে গুলি চালানোর অভিযোগে একজন ধরা পড়ে বাকিরা ৬টি গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে আড়াই কিলোমিটার দূরে ভুলা মোড়ে গ্রামবাসীরা 3টি গাড়ি থামিয়ে 4 জন লোককে ধরে ফেলে ও মারধর করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য ৩টি গাড়িতে আসা অন্যান্যরাও পালিয়ে যায়। বোড়াম থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে বিকেল 6 টার দিকে পৌছে উক্ত লোকেদের গ্রামবাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় চিরুডিহ নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। লাউজোড়া মন্দিরের কাছে গুলি চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকেরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যাকে সন্ধ্যা 7 টা নাগাদ বোড়াম থানার ইনচার্জ শঙ্কর লাকরা চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যান। পটমদার সার্কেল ইন্সপেক্টর হীরালাল মাহতো এবং পটমদা থানার ইনচার্জ অশোক রাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করেন। বোড়াম পুলিশ এ ব্যাপারে হাতি খেদা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গিরিজা প্রসাদ সিং সর্দারের কাছ থেকে ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । প্রধান পুরোহিত গিরিজা প্রসাদ সিং সর্দার জানিয়েছেন যে তিনি সন্ধ্যা 6.30 টায় ঘটনার খবর পান কিন্তু এখনও ঘটনার বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাননি। তিনি কার্তিক সিংকে মন্দিরের প্রাক্তন সদস্য বলে জানান। যেখানে কার্তিক সিং সম্পর্কে লোকেরা বলে যে তিনি মন্দিরে বলি দেওয়ার কাজ করেন এবং 1 দিন আগে তাঁর শ্বশুর মারা যাওয়ার কারণে আজ তিনি মন্দিরে না গিয়ে বাড়িতে ছিলেন।

বোড়াম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শঙ্কর লাকড়া বলেন, গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, এটি লাইসেন্স করা নাকি লাইসেন্সবিহীন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তাছাড়া সাড়ে 7 টার দিকে ভুলা মোডে পটমদার ডিএসপি সুমিত কুমার বিষয়টি খোঁজ নেন।

Spread the love