পটমদায় খতিয়ানী সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক অমিত মাহাতো

পটমদায় খতিয়ানী সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক অমিত মাহাতো

তিনি বলেন – শুধু জোহার নয়, খতিয়ানী জোহার বলুন, এটাও ঝাড়খণ্ডীদের চেনার একটি মাধ্যম

Patamda: রবিবার পটামদা কলেজ জাল্লা ময়দানে গ্রাম প্রধান মথুর মাহাতোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খতিয়ানী গ্রামসভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে প্রাক্তন বিধায়ক অমিত মাহাতো শতাধিক গ্রামবাসীকে সম্বোধিত করেন। তিনি উপস্থিত জনগণকে নিজের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জন্য তৈরি হবার আহ্বান জানান। অমিত মাহাতো বলেন, আজ এখানে যত মানুষ জড়ো হয়েছে, প্রত্যেকে এক একজন এক হাজারের সমান।
তাই এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর আপনার গ্রাম ও এলাকার প্রত্যেক মানুষকে জানিয়ে দিন যে হেমন্ত সোরেনকে আমরা যে আশা নিয়ে নির্বাচিত করেছিলাম, সেই সরকার আমাদের আশা সমূলে নষ্ট করে দিয়েছে। হেমন্ত সোরেন বহিরাগত ভাষা-ভাষী লোকদের প্রেমে পড়েছেন, তাই এখন আমাদের কথা ভুলে গিয়ে তাদের হয়ে কথা বলছেন। তার বিবৃতি নিতান্ত হাস্যকর, তিনি নিজের বিবৃতি তে বলেছেন যে খতিয়ান-ভিত্তিক নিয়োজন নীতি তৈরি হলে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করবে, কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন যে দেশের সংবিধান রাজ্য সরকার কে অধিকার দিয়েছে দেশের অন্যান্য 18 টি রাজ্যের মত ঝাড়খন্ড রাজ্যেরও স্থানীয়তা নীতি ও নিয়োজন নীতি তৈরি করার।
তিনি বলেন আমরা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় গিয়ে জনগণকে জাগানোর চেষ্টা করে চলেছি, আমরা নিশ্চয় একদিন আমাদের নীতিগত দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করব অন্যথায় সরকার কে জনগণের সামনে সমর্পন করতে হবে। তিনি সংকেত দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আদিবাসী-মূলবাসীদের একতা চাইলে ৩ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন শুরু করতে বাধ্য করতে পারে। তিনি জনগণকে শপথ নিতে বলেন যে, বীর শহীদ নির্মল মাহতো, নীলাম্বর-পিতাবনর, শেখ ভিখারি, সিদো-কানহুর স্বপ্ন পূরণে খতিয়ানের দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, হেমন্ত সরেনকে দেওয়া এক মাসের আলটিমেটাম থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর না পেয়েই তিনি সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছেন।
অমিত মাহাতো বলেন এখন শুধু জোহার বলবেন না, খতিয়ানী জোহার বলুন, এটাও ঝাড়খণ্ডীদের চেনার একটি মাধ্যম। অনুষ্ঠানে লক্ষ্মণ মাহাতো, রূপনারায়ন মোদক, লাল্টু মাহতো, অমর সিং সর্দার, ফণী মাহতো এবং সরাইকেলার মথুর মাহতো তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

Spread the love