বাঁগুড়দাতে তারকব্রহ্ম শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তীজীর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে 100 ঘন্টা ব্যাপী “বাবা নাম কেবলম” অখন্ড সংকীর্তন সম্পন্ন

বাঁগুড়দাতে তারকব্রহ্ম শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তীজীর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে 100 ঘন্টা ব্যাপী “বাবা নাম কেবলম” অখন্ড সংকীর্তন সম্পন্ন

Patamda : তারকব্রহ্ম শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তীজীর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে, বাঁগুড়দা আনন্দ মার্গ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গত 4 এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া 100 ঘন্টা ব্যাপী “বাবা নাম কেবলম” অখন্ড সংকীর্তন আজ বিকেল 2 টার সময় শেষ হয়। 4 দিন ধরে আয়োজিত সংকীর্তনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছাড়াও কলকাতা, জামশেদপুর, সরাইকেলা এবং অন্যান্য জায়গা থেকে আগত আনন্দ মার্গের সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও ভক্তেরা কীর্তন উপভোগ করেছেন।

বিশেষ উল্লেখ্য : আনন্দ মার্গের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট সমাজসংস্কারক, ভাষাবিদ শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তীজী 1984 সালের 8 ই এপ্রিল পটমদা ব্লকের বাঁগুড়দা গ্রাম ভ্রমণ করেন। সেই সময় তিনি বাঁগুড়দা গ্রামে এক প্রাচীন জৈন প্রত্নতাত্ত্বিক ভগ্নাবশেষ দেখেন ও সুপ্রাচীন “দালমা” লিপি সম্পর্কে নোতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি “দালমা” লিপির 1800 বছর থেকেও প্রাচীন গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে গ্রামবাসীদের জানান। তাঁর এই পদার্পন দিবস কে স্মরণীয় করে রাখতে বাঁগুড়দা আনন্দ মার্গ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে এক বর্ণময় শোভাযাত্রা বের করা হয় যা জৈন প্রত্নতাত্ত্বিক ভগ্নাবশেষ যেখানে রয়েছে সেই স্থান থেকে আবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফিরে আসে।

100 ঘন্টা ব্যাপী এই সংকীর্তনে প্রত্যেক দিন স্থানীয় গ্রামবাসীরা অংশ নিয়ে কীর্তন করেন। এই উপলক্ষে 4 দিনে প্রায় 3000 লোকেরা মিলিত আহার করেন। আজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে আনন্দ মার্গের বিশিষ্ট সন্যাসী আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ বলেন যে কীর্তন ই একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে ভক্তের ও পরমপুরেষের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যেখানে ভক্তেরা কীর্তন করেন সেখানে পরমপুরুষ তাঁর প্রাণকেন্দ্র স্থাপন করতে বাধ্য হন। তাই কীর্তনই পরমপুরেষকে পাবার সবচেয়ে সহজ উপায়। তাই ভক্তদের উচিত যখনই সময় পাওয়া যাবে দুহাত তুলে সকলে মিলে উচ্চস্বরে কীর্তন করতে হবে।

সভাপতি ডাঃ সুশীল কুমার মাহতো, সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র মাহতো, বিশ্বনাথ গরাই, সম্পাদক বাসুদেব মাহতো, ত্রিলোচন মাহতো, শলাবত প্রামাণিক, সুভাষ গরাই, স্বপন দাস, কৃষ্ণ গরাই, তপন দাস, সুশান্ত মাহাতো, নরহরি রজক, প্রভাস মাহতো প্রমুখ অনুষ্ঠানের সফল পরিচালনা. করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানত আচার্য চিরাগতানন্দ অবধুত, আচার্য রাজেশ ব্রহ্মচারী, অরুণ মাহাতো, অবধূতিকা আনন্দ অনুপমা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ পূর্ণপ্রাণা আচার্যা, আচার্য সন্দ্রীপতানন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love