বারিগোড়াতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

বারিগোড়াতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে টেনশনে ভুগছিল গুড্ডু।

Jamshedpur: পরসুডিহ থানা এলাকার বারিগোড়ার বাসিন্দা আশুতোষ কুমার ওরফে গুড্ডু (22) বুধবার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে সে একটি সুইসাইড নোট লিখে। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন পরসুডিহ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের পঞ্চনামা করে ময়নাতদন্তের জন্য এমজিএম মেডিকেল কলেজে পাঠায়।
গুড্ডু যে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সেই ঘরের দেওয়ালে সে স্কেচ পেন দিয়ে একটি সুইসাইড নোট লিখে। ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল ‘ গুড লাক, আর আমার জন্য কাউকে কষ্ট সহ্য করতে হবে না, কাওকে টেনশন নিতে হবে না। সরি ক্ষমা করে দিও, আমি চলি। বায় মা পাপা। দেওয়ালে কথাগুলো লিখে সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে।

ব্ল্যাকমেইলিং মামলার জেরে মানসিক চাপে ছিলেন গুড্ডু
16 এপ্রিল পরসুডিহ থানায় গুড্ডুর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মামলা করেছিল এক মেয়ে। তারপর থেকে গুড্ডু মানসিক চাপে চলছিল। আসামি পক্ষের লোকজন তাকে পথেও নির্যাতন করে। তাকে লাঞ্ছিতও করা হয়। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্বজনদের হয়রানিও করছে পুলিশ। স্বজনরা বলছেন, গুড্ডুর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা হয়েছে। সে এমন ছিল না। নাজেহাল হয়ে সে আত্মহত্যা করে।

বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার
গুড্ডুর বড় ভাই একজন প্রকৌশলী এবং রাজ্যের বাইরে থাকেন। ছোট ভাই লেখাপড়া করছে। সে নিজেও স্নাতক শেষ করেছিল। এখানে সে একটি শোরুমে কাজ করত। তার বাবা একজন ঠিকাদারি শ্রমিক। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা একেবারে ভেঙে পড়েছে।

ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ
16 এপ্রিল পরসুদিহ থানায় ব্ল্যাকমেইলিং মামলা দায়ের করা হয়। এতে এক ছেলেকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর তিনজন বাইরে আছে। এতে নাম রয়েছে বিশাল ও মুনিরেরও। গুড্ডু আত্মহত্যা করে জীবন শেষ করেছে। গুড্ডুর বাড়িতে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ হানা দেয়, যখন গুড্ডু বাড়িতে ছিল না।

Spread the love