ভিড় থেকে বাঁচতে রেলসেতু থেকে লাফিয়ে পড়লে মারা যায় নেকড়ে বাঘ

ভিড় থেকে বাঁচতে রেলসেতু থেকে লাফিয়ে পড়লে মারা যায় নেকড়ে বাঘ

জামশেদপুরের টাটানগর রেলস্টেশনের কাছে ঘটনা,টেলকো ও বিরসানগরের লোকেরা নেকড়ে বাঘের ভয়ে আতঙ্কিত ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিভাইরাল হলে বন বিভাগ অস্বীকার করে।

Jamshedpur : শহরের টেলকো থানা এলাকার খাড়াঙ্গাঝাড়, মনীফীট ও বিরসানগরে কয়েকদিন ধরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা একটি নেকড়ে বাঘ(হুড়ার) নিহত হয়েছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে মানুষ। তবে তার সঙ্গে আরও একটি নেকড়ে বাঘ(হুড়ার) থাকার কথাও শোনা যাচ্ছে। দ্বিতীয় হায়েনার বা নেকড়ে বাঘের অস্তিত্ব এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বন বিভাগ। তবুও আরেকটি নেকড়ে বাঘের ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত।
হায়েনা হত্যার ঘটনা ঘটেছে বার্মাইন্সের কাছে স্টেশনের পুরনো সেতুর কাছে। প্রথমে হায়েনা স্টেশন ব্রিজ থেকে লাফ দেয়, তারপর কিছু ছেলে ক্রিকেট ব্যাট ও উইকেট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। বন বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মমতা প্রিয়দর্শী জানান, নিহত প্রাণীটি একটি হায়েনা। তার মৃত্যুর তদন্ত চলছে। প্রাণী নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা ভাবা হচ্ছে।
তথ্যমতে, বার্মামাইনসের সিধু-কানহো বসতির কিছু ছেলে এনএমএল কলোনির ঝোপে একটি হায়েনা দেখতে পায়। সে সময় ছেলেরা সেখানে ক্রিকেট খেলছিল। প্রথমে তারা হায়েনাটিকে দেখে বুঝতে পেরেছিল যে এটি একটি বিপজ্জনক দেখতে কুকুর। তারপর কিছুক্ষণ পর তারা বুঝল এটা কুকুর নয়, হায়েনা। এরপর সবাই একজোট হয়ে ব্যাট-উইকেট ও লাঠি নিয়ে ঝোপের দিকে এগোলে হায়েনারা দৌড়াতে থাকে। সেই সাথে ছেলেরাও তাকে দৌড়াতে শুরু করে এবং হায়েনা দৌড়ে স্টেশনের পুরানো ওভারব্রিজে চলে যায়, কিন্তু সামনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে সে সেতুর নিচে ঝাঁপ দিয়ে সরাসরি রেললাইনে পড়ে যায় এবং আহত হয়। দৌড়ে আসা ছেলেরা তাকে ব্যাট-উইকেট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
বন দফতরের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হল
এই গোটা ঘটনায় বন দফতরের দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে টেলকোর খাড়াঙ্গাঝাড়, মনিফিট, বিরসানগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় হায়েনাদের অবাধ বিচরণের কথা উঠে আসে। তার ভিডিওও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তা সত্ত্বেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। এখন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সবাই নিশ্চিত হয়েছে হায়েনা সম্পর্কে। সেই সঙ্গে হায়েনার মৃতদেহ নিয়ে গেছে অধিদপ্তর। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বন বিভাগ।

Spread the love