পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে রেলে মাথা প্রেমিক যুগলের।

পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে রেলে মাথা প্রেমিক যুগলের।

রেললাইন থেকে প্রেমিক যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

Dhalbhumgar: ধলভূমগড় পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ রবিবার ধলভূমগড়-কোকপাড়া স্টেশনের মধ্যে লয়লা স্কুল ভবনের পিছনে রেলপথ থেকে প্রেমিক যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে রেল পুলিশের এএসআই চন্দ্রশেখর মাহাতো দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যে ধলভূমগড় থানার ইনচার্জ অবনীশ কুমার, এএসআই কেডি রাম, জয়প্রকাশ যাদব এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার খোঁজখবর নেন। মৃতদেহের সামনে থেকে উদ্ধার হল নাবালিকার স্কুল ব্যাগ। নরসিংগড় প্লাস টু হাইস্কুলের আই-কার্ড এবং স্কুল ব্যাগে নাবালিকার বই-খাতা পাওয়া গেছে এবং যুবকের ব্যাগে আইডি কার্ড পাওয়া গেছে, যা তাকে লক্ষ্মণ সোরেন বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাটি দুজনের পরিবারকে জানানো হয়।

পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঘাটশিলা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার বিষয়ে নাবালিকার বাবা উলদা গ্রামের বাসিন্দা মেঘরাই কিস্কু জানান, মেয়েটি নরসিংগড় প্লাস টু উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিল এবং এরপর আর ফেরেনি। তদন্তে দেখা গেছে, চরচাক্কা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ সরেন তাকে তুলে নিয়ে গেছে। ধলভূমগড় থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। জানান, তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং এর আগেও দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের দুজনকেই বোঝানোর পর বিয়ে না করতে বলা হয়েছিল। কারণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই ভাই বোনের মতো। একইসঙ্গে মৃত লক্ষ্মণ সোরেনের বাবা মাঘা সরেন জানান, ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, নিভে যাওয়ার পর দুজনেই আলাদা হয়ে যায়। তার ছেলে কাশ্মীরে কাজ করত। তিনি 10 দিন আগে ফিরে আসেন, তারপর তারা দুজনেই যোগাযোগ করেন এবং ট্রেনে মাথা দিয়ে মারা যান। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


File photo

Spread the love