বাচ্চাদের টিউশনি পড়িয়ে জেলা টপার হয়েছে বুল্টি

বাচ্চাদের টিউশনি পড়িয়ে জেলা টপার হয়েছে বুল্টি

– বুল্টি 500 নম্বরের মধ্যে 451 নম্বর পেয়েছে।
– প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার পড়াশোনা করেছে সে।

Jamshedpur : টেলকো রামাদিন বাগানের বাসিন্দা বুল্টি গরাই উমেন্স কলেজের ছাত্রী, ইন্টারমিডিয়েট আর্টস পরীক্ষায় জেলা টপার হয়েছে। সে 500 নম্বরের মধ্যে 451 নম্বর পেয়েছে। ইংরেজিতে 90, হিন্দিতে 95, ইতিহাসে 90, ভূগোলে 90 এবং অর্থনীতিতে 86 নম্বর পেয়ে উৎকৃষ্ট রেজাল্ট করেছে। বুল্টি বিষ্টুপুরের রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে উমেন্স কলেজে পড়াশোনা করছে। বুলির বাবা লাল্টু গরাই দশ বছর আগে মারা যান। তার মা রেণুকা গরাই রামকৃষ্ণ মিশন বিষ্টুপুরে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি তাঁর সামান্য আয়ে প্রতিকূলতার মধ্যেই মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। মা-মেয়ে দুজনেই জামশেদপুরে মামার সঙ্গে থাকেন। তাঁর সাহায্যেই সে পড়াশোনা করতে সক্ষম হয়। বুল্টি জানায় বর্তমানে তার একমাত্র লক্ষ্য পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা। বুল্টির বাবা-মায়ের আদি বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ফুলকাসুমায়। বাবার মৃত্যুর পর তারা চলে আসেন জামশেদপুরে। এরপর থেকে তাঁরা তার মামার সাথে তাঁদের সাথে বসবাস করছে। বুল্টি তার নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য বাড়িতে শিশুদের টিউশনি পড়ায়। সে কখনই কোচিংয়ের সাহায্য নেয়নি। ইন্টারমিডিয়েট টপার হয়েছে সেলফ স্টাডির মাধ্যমে। সে দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পড়াশোনা করে। সে তার সাফল্যের কৃতিত্ব তার মা, শিক্ষক এবং পরিবারকে দিয়েছে।

Spread the love