আদিত্যপুর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুজন, পশ্চিমবঙ্গে চলছে তল্লাশী

আদিত্যপুর খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুজন, পশ্চিমবঙ্গে চলছে তল্লাশী


-সরাইকেলা-খরসাওয়ার এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
-নিহত তিনজনের শরীর থেকে ছয়টি পিলেট বের করা হয়, আশিসকে তিনটি গুলি লেগেছিল।
Adityapur: সরাইকেলা-খারসাওয়া জেলার সাতবহিনী দুর্গাপূজা মাঠে মঙ্গলবার রাতে সন্তোষ থাপার দলের তিন সদস্যের হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তারা নিজেরাও সন্তোষ থাপা গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শেষ অবস্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই সরাইকেলা-খারসাওয়া জেলা পুলিশ দলকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার যুবকরা একসঙ্গে ছিল-
যে দুই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তারা ছোটু রাম, শেরু সর্দার এবং তার গ্যাংয়ের অন্যান্য শ্যুটারদের সাথে ঘটনার পর বোলেরোতে চেপে সাকচিতে এসেছিল। এরপর তাদের দুজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় হামলাকারীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গে গেছে পুলিশ।
ঘটনার পর, বুধবার বিকেলে সরাইকেলা-খারসাওয়া জেলার এসপি আনন্দ প্রকাশ প্রথমে আদিত্যপুর থানা এবং তারপর সাতবাহিনী মাঠে পৌঁছান। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখানে এসপির উপস্থিতিতে দিনভর পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করে জানার চেষ্টা করা হয় কীভাবে সবাই এক জায়গায় জড়ো হয় এবং কীভাবে গুলিবিদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি পুলিশের সামনে তুলে ধরেন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাই রাজু গরাই।
তিনজনকে ছটি গুলি মারে হামলাকারীরা –
মৃত আশিসকে তিনটি, সুধীরকে দুটি এবং রাজুকে একটি গুলি লাগে। আশীষের বুকে তিনটি গুলি লেগেই ছিল। তিন ঘণ্টা ধরে চলে তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাতবাহিনীতে।
যে ঘটনা ঘটেছিল –
মঙ্গলবার রাত 9 টা 40 মিনিটে আদিত্যপুর থানাধীন সাতবাহিনীর দুর্গাপূজা মাঠে একই গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। তিনজনই সাতবাহিনীর জামালপুরের বাসিন্দা। মৃতদের নাম আশিস গরাই (29), রাজু গরাই (33) ও সুধীর চ্যাটার্জি (35)।

Spread the love