নিখোঁজ সুলতান ওরফে করণের মৃতদেহ উদ্ধার
– বিষ্টুপুরে জুসকোর নির্মাণাধীন মলের সিঁড়িতে পড়ে ছিল লাশ, দুর্গন্ধ পেয়ে জানতে পারে লোকজন।
– ঘটনায় বিষ্টুপুর থানায় অজ্ঞাত নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
– মৃতের পরিবারকে জানানোর আগেই কিউআরটি মোতায়েন করেছিল পুলিশ।
Jamshedpur :বলদেব বস্তি থেকে নিখোঁজ সুলতান ওরফে করণের লাশ বুধবার সকালে জুসকোর নির্মাণাধীন মলের সিঁড়িতে পাওয়া যায়।এ ঘটনায় জাকির খানের বক্তব্যে বিষ্টুপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মল থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষীরা বিষ্টুপুর পুলিশকে খবর দেন। মৃতদেহের খবর মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগেই মলের বাইরে কিউআরটি মোতায়েন করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। সুলতানের মরদেহের খবর পেয়ে বসতিবাসীরা মলের কাছে জড়ো হলে সেখানে কিউআরটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ততক্ষণে এএসপি সুধাংশু জৈনও এখানে আসেন এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মাণাধীন মলের ভেতরে ডাকা হয়।
মিডিয়াকেও মৃতদেহের কাছে পৌঁছাতে দেয়নি পুলিশ।
মৃতের আত্মীয়, পুলিশ আধিকারিক এবং স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কাউকে মলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। গেট বন্ধ ছিল। এমনকি গণমাধ্যমকেও সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। ভেতরে লাশের পঞ্চনামাও প্রস্তুত করা হয়েছে। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
চুরির জন্য নির্মাণাধীন মলে প্রবেশের অভিযোগ।
এই ঘটনায় স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে বলা হচ্ছে, পাঁচজন যুবক চুরির উদ্দেশ্যে মলে ঢুকেছিল। রক্ষীরা তাদের তাড়া করলে সবাই পালিয়ে যায়। পুলিশের সন্দেহ, সুলতান পালিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে মারা যেতে পারে। যারা সুলতানের সাথে মলের ভেতরে গিয়েছিল, তারাই সুলতানের ভেতরে থাকার কথা বস্তির লোকজনকে জানালে শনিবার তারা হাঙ্গামা করে।
বস্তির লোকজন জানায়, সুলতানকে সিকিউরিটি গার্ড কমল মলে চুরি করার জন্য ডেকে নিয়ে তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত। বস্তির লোকজন প্রথম দিন থেকেই কমলের নাম নিচ্ছে, কিন্তু পুলিশ তাকে একবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতের স্ত্রীকে 50 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ও আলোচনা করা হয়েছে। এ নিয়ে মল থেকে লাশ তুলে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয় এবং গভীর রাতে শেষকৃত্য করা হয়। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে।