বান্দোয়ানে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝাড়খণ্ডের দুই যুবকের মৃত্যু, আহত এক স্থানীয় শিক্ষক
পরমেশ্বর কুম্ভকার (ফাইল ফটো)
Purulia (Somnath Gope):শুক্রবার সকাল 11 টা, নাগাদ পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু। এই ঘটনায় আরও একজন স্থানীয় শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সঞ্জয় কুম্ভকার (ফাইল ফটো)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে বান্দোয়ান কুইলাপাল সড়কে বান্দোয়ান থানার কাছে পুরানা বাঁধ ও ক্রাশারের কাছে। পূর্ব সিংভূম জেলার কমলপুর থানা এলাকার গোপালপুরের বাসিন্দা পরমেশ্বর কুম্ভকার (21) এবং তার দূর সম্পর্কের ভাই সঞ্জয় কুম্ভকার (19), বাইকে চড়ে কুইলাপাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্যদিকে বান্দোয়ানের বাসিন্দা শিক্ষক মলয় দাস বাজার থেকে এমডিএমের জন্য সবজি ইত্যাদি কিনে একাই তার স্কুলে যাচ্ছিলেন। প্রধান সড়কে কাউকে বাঁচাতে গিয়ে পরমেশ্বর কুম্ভকারের বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বাইকের সাথে সংঘর্ষে হয় এবং তিনজনই রাস্তার মাঝখানে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায়, বন্দোয়ান পুলিশ তিনজনকেই গুরুতর অবস্থায় বান্দোয়ানের ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায় যেখানে চিকিৎসকরা উভয় যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দুই যুবকই হেলমেট না পরেই বাইক সাওয়ার হয়েছিল।
আহত শিক্ষক মলয় দাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
শিক্ষক মলয় দাসের মাথা, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত লেগেছে। সূত্রের খবর, তার একটি পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে নিহত যুবকদের পরিবারের সদস্যরা বান্দোয়ান থানায় পৌঁছে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে মৃতের প্রতিবেশী গোপালপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মাঝি বলেন, পরমেশ্বর 3 ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল এবং গত কাল সে সঞ্জয় এর সাথে উড়িষ্যা থেকে শ্রমিকের কাজ করে গোপালপুর ফিরেছিল। আজ সকালে সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে ফেরার সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, যদি দুই যুবকই হেলমেট ব্যবহার করতো, তাহলে আজ হয়তো তাদের জীবন বেঁচে যেত।