বিভিন্ন দলের শতাধিক সমর্থক বিজয়া মিলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে
Purulia (Nayan Kuiri) : গত বিধানসভায় নমিনেশন বাতিল হওয়ার কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দিতে না পারায় জয়পুর বিধানসভা হাতছাড়া করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।পুরুলিয়াতে 24 এ লোকসভার আসনটি হাতছাড়া করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার জয়পুর বিধানসভা হারানো জমিকে ফিরে পেতেই ময়দানে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। 24 এর লোকসভা কেন্দ্র পুরুলিয়া জেলাতেই ফুটেছে পদ্মফুল। জেলাতে ব্যাপক ভরাডুবি দেখা গিয়েছিলো তৃণমূল কংগ্রেসে। তাই এবার ভরাডুবি থেকে ঘাসফুলকে তুলে আনার লক্ষ্যে এবং আগামী 26 এর বিধান সভাকে টার্গেট রেখে বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ করতে ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। নিজেদের ভুল ত্রুটি স্বীকার করে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কে চাপা রেখে সমস্ত কিছুকে অন্ধরে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তলে সামিল হয়েই বিজয়া সম্মেলনীতে সামিল হয়েছেন জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সমস্ত ব্লক নেতৃত্বরা।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগেই জেলাজুড়ে চলছে বিজয়া সম্মেলনী কর্মসূচি। জেলার কাশীপুর, পাড়া, রঘুনাথপুর, হুড়া, বলরামপুর সহ অন্যান ব্লকের মতো রবিবার জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে জয়পুর ব্লক এলাকার সমস্ত নেতা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জয়পুর পরিচয় ভবনে অনুষ্ঠিত হলো শারদ সম্মান ও বিজয়া সম্মেলনী। জয়পুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে আজ 50 টারও বেশি পরিবার এই বিজয় সম্মেলনের মধ্য দিয়েই যোগদান করেন ঘাসফুল শিবিরে। এদিন বিজয়া সম্মেলনী সাথে এক যোগদান পর্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূল কংগ্ৰেসের দলীয় পতাকা তুলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলার প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো, বাগমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল কুমার, জেলার যুব সভাপতি মেঘদূত মাহাতো, জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঋষিপদ গোপ, জয়পুর যুব সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য অর্জুন মাহাতো, জেলা নেতা সুষেন মাঝি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষা নীলাঞ্জনা পট্টনায়ক, জয়পুর ব্লক এলাকার সমস্ত নেতা ও কর্মী সমস্ত।
শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল কুমার জানান, দলের কান্ডারী মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জী কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষ তৃণমূলে থাকতে চাইছে। এছাড়াও তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মুখের খাবার কেড়ে খায় না, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়। এছাড়াও তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রকল্প শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের জন্য প্রকল্প চালু করেন এমনটা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত জাতি সমস্ত দলের মানুষের হয়ে লড়াই করেন। এর পাশাপাশি জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্ৰেসের ব্লক সভাপতি রাজাবাবু আনসারী বলেন আজ জয়পুর ব্লক বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি, কংগ্ৰেস ছেড়ে বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে ঘাসফুলে যোগদান করলেন। মানুষের সাড়াৎ পেলাম তাঁতে আমরা নিশ্চিত জয়পুর এলাকার মানুষ ঘাসফুলের পাতাকার নিচে আছে।
এদিন যোগদানকারীদের মধ্যে বিনোদ মাহাতো, শংকর মাহাতো জানান, এর পূর্বে আমি বিজেপি দল করতাম। সেখানে বিজেপি দল কোন কাজ করছে এমন কিছু তা দেখতে পেতাম না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ও অভিষেক ব্যানার্জীর কাজের প্রতি মুগ্ধ হয়ে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। অপরদিকে বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট রবীন সিংদেও জানান, জয়পুর ব্লক এলাকা থেকে যে সমস্ত ব্যক্তি তৃণমূলের যোগদান করেছেন তারা আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির কোনো ব্যক্তি ছিলো না। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এটা পুরোটাই সাজানো বলেই দাবি করছেন বিজেপি নেতা।