কর্মীদের মিশন 2026-এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত, নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবেন না: বিধায়ক
Purulia (Nayan Kuiri) : দলের নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকলে চলবে না। কালীপূজার পর থেকেই দলের খুঁটি সাজাতে হবে। সমস্ত ব্লক নেতৃত্ব অঞ্চল নেতাদের। এমনই আট ঘাট বেঁধে দিলেন বাঘমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। সোমবার আড়ষা কলেজে বিজয়ার সম্মেলনীতে উপস্থিত হয়ে তিনি বার্তা দেন আড়ষা ব্লক এলাকার নেতৃত্বদের। কালি পুজোর পর থেকে শুরু করে আগামী 26শের বিধানসভা পর্যন্ত প্রত্যেক ব্লক অঞ্চলের জোর কদমে প্রচার চালাতে হবে, সাধারণ মানুষের প্রত্যেকের সুবিধাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের ডালি তুলে দিয়েছেন আর সেই প্রকল্প গুলোকে জনসাধারণের কাছেই তুলে ধরতে হবে ব্লক নেতৃত্ব ও অঞ্চল নেতাদের এবং আমাদের প্রত্যেককে। 26 এর বিধানসভা তে বাঘমুন্ডি বিধানসভা সহ জয়পুর পুরুলিয়া জেলার সবকটি বিধানসভা কে মুখ্যমন্ত্রী কে উপহার হিসেবেই তুলে দিতে হবে এমনই আগাম বার্তা দিলেন বিধায়ক।
পুজোর মুখে শক্তি বৃদ্ধি হলো শাসক দলের। আজ পুয়াড়া অঞ্চলের খুকড়ামুড়া এক নম্বর সংসদ থেকে নির্দল প্রার্থী যোগদান করলেন ঘাসফুল শিবিরে। আড়ষা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ব্লক এলাকার সমস্ত কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্বদের নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত হলো বিজয়া সম্মেলনী ও শারদ সম্মান অনুষ্ঠান। এদিন এর সঙ্গে এক যোগদান পর্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যোগদান কারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু, বাঘমুন্ডি বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল কুমার, জেলা যুব সভাপতি মেঘদূত মাহাতো, জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সাদ্দাম আনসারী, আড়ষা ব্লক তৃণমূল কংগ্ৰেস ব্লক সভাপতি বিদ্যাধর মাহাতো, আড়ষা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরুপ মাঝি, জেলা পরিষদের দুই সদস্যা পুষ্পলতা টুডু, কাকলি মাহাতো, জেলা নেতা সুশান মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ ও ব্লক এলাকার সকল অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক এলাকার সমস্ত অঞ্চল নেতৃত্ব ও কর্মসংর্থকরা।
আড়ষা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরুপ মাঝি বলেন, অন্যান্য ব্লকের মতো আজ আমরা আড়ষা ব্লক এলাকার একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকদের নিয়েই কলেজ ময়দানে বিজয়া সম্মেলনী আয়োজন করলাম। তিনি বলেন আজ পুয়াড়া অঞ্চলের একজন নির্দল প্রার্থী ছাড়াও এলাকার কুড়িটিরও বেশি পরিবার অন্যান্য রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা তোলে সামিল হলেন। এছাড়াও তিনি বলেন রাজ্যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তাই আমরা সব সময়ই ব্লক এলাকার সমস্ত মহিলাদেরকে নিয়েই কাজ করছি। তাই আমরা আজকে এলাকার বিজয়ের সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে আমরা যেভাবে দলের পুরোনো নেতাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছি একইভাবে ঠিক এরকম ব্লক এলাকার সমস্ত মহিলা নেতৃত্বদের আমরা শারদ সম্মান জানালাম। যাতে আগামী দিনে এই মহিলার হাত দিয়ে আমরা সবকিছুকে জয় করে আনতে পারি। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে নির্দল প্রার্থী রাজবোলা সহিস বলেন, রাজ্যে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছে তাতে আমি মুগ্ধ হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে শক্ত করতে মানুষের উন্নয়ন করতে মানুষের পাশে থাকতে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম। এদিনের অনুষ্ঠানে মহিলাদের উৎসাহ ছিল একেবারেই নজর কাড়া।